দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের রায়ের জন্য আগামী ১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। ওই সময় পর্যন্ত আদালতের অনুমতি ছাড়া তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না বলে আদেশে বলা হয়েছে।
আজ (২৪ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। খালিদীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার কবির।
আইনজীবী খুরশিদ আলম খান আদেশের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে জামিন দেন। পরে জামিন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক।
ওই বছরের ৩০ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ ওই মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, তৌফিক ইমরোজ খালিদী এইচএসবিসি, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন হিসাবে ৪২ কোটি টাকা জমা রেখেছেন, যার বৈধ কোনো উৎস নেই। ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে অবৈধ প্রক্রিয়ায় প্রতারণার মাধ্যমে তিনি ওই টাকা অর্জন করেছেন বলে প্রাথমিক তথ্য-উপাত্তে প্রমাণিত।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, তৌফিক ইমরোজ খালিদী ওই অস্থাবর সম্পদ অসাধু উপায়ে অর্জন করেছেন, যা তার জ্ঞাতআয়ের উৎসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
ওই বছরের ২৬ আগস্ট হাইকোর্ট তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। এর বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করেন। পরে ২১ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ তা বহাল রাখেন। এরপর ২০ অক্টোবর তিনি ঢাকা মহানগর আদালতের সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। শুনানি শেষে সেদিন আদালত তাকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। এরপর ২৫ নভেম্বর স্থায়ী জামিন আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।